My Inward Journey S2 E2

Share

Journal ১০ই আষাঢ়, ১৪৩০, রবিবার, 25th June 2023, Sonarpur, Kolkata

আজ সারাদিনটা চলে যাচ্ছে কম্পিউটার housekeeping এর দৌলতে। আমার ল্যাপটপের সব ড্রাইভগুলিতেই প্রচুর ডান্স এর ফোল্ডারে ভর্তি ছিল। কাজ এখনো চলছে। সবগুলিকে external hard drive এ কপি করছি। শেষ কখন হবে জানিনা। এত্ত প্রোগ্র্যাম পেন্ডিং!!! সেই সঙ্গে কিছু আপডেটও চলছে। অনেকদিন পর ফোটোশপটা নিয়ে বসলাম। তখনি দেখলাম GPU lag করছে। আপডেট করা, housekeeping আর সেটিংস এর কিছু পরিবর্তন করলাম। আসা করছি এতে ছবির মান আরো উন্নত হবে। আমার তো সব ছবি low light oriented তাই সবসময় UpToDate রাখতে হয় computer.

আজ যত রাতই হোক, শেষ করে উঠবো। কম্পিউটার যদি ঠিক-ঠাক না দৌড়াতে পারে তাহলে ভালো আউটপুট পাওয়া যায়না। যতটা আমার অধীত জ্ঞান আছে তাই দিয়ে সেই চেষ্টাই করছি।

গতকাল আমার ক্যামেরার লেন্স এর রবার ব্যান্ডটা পাল্টাতেই হলো। ওটা নাকি বড়ো হয়ে গেছে। সৌমিকেরটা দিব্বি কুইক ফিক্স দিয়ে হয়ে গেছিলো, কিন্তু আমার ক্যামেরার লেন্সের জন্য সেই তত্ত্ব খাটলো না। সৌমিকের কি হাসি। হচ্ছে তোর। লেন্সটা ঘোরাতে একটু টাইট লাগছে, নতুন বলে এমন হচ্ছে বোধহয়। পর পর প্রোগ্র্যাম আছে। পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

গতকাল নির্মাল্যের প্রোগ্র্যাম ছিল। কনসেপ্টটা দারুন। রাজস্থানের ঢোলা আর মারুর প্রেম-বিরহ গাথা। জানতে পারলাম “padharo mhare desh” এই কথাটা কি ভাবে এসেছে। চরিত্র চিত্রণ, choreography বেশ ভালো ছিল। আলোক প্রক্ষেপনও মোটামুটি ভালোই ছিল। ড্যান্সার্সরা অনেক মেহনত করেছেন বিষয়টি সুচারু ভাবে আমাদের সামনে তুলে ধরতে। নির্মাল্য, রঞ্জিতা আর তাদের মেয়ে তাদের সেরাটা দেবার চেষ্টা করে গেছেন, আর দর্শকরাও করতালির মাধ্যমে তাদের বারংবার উষ্ণ অভিবাদন জানিয়েছেন। সাপোর্টিং ড্যান্সার্সরাও তাদের কাজ সুষ্ঠূ ভাবে করেছেন। কথক এর ভূমিকায় Hossain অনবদ্য। একটা মন ছুঁয়ে যাওয়া ডান্স প্রোগ্র্যাম এর সাক্ষী থাকলাম।

গ্যালারি সিস্টেম হল। আমি আর সৌমিক অনেকটাই আগে পৌঁছে গেছিলাম। তখন শুধু ক্যামেরাম্যান আর লাইট এর লোকজন উপস্থিত। আমি একটু উঁচুতে বসতে গেছি, হঠাৎ একজন ক্যামেরাম্যান বললেন, জুতোটা খুলে আসুন। জায়গাটা না হলে নোংরা হয়ে যাবে। কি আর করি, আবার গ্যালেরির নিচে নেমে জুতো খুলে এলাম। তারপর দেখলাম দর্শক সবাই জুতো পরেই বসছে। এই হলটায় আগে যায়নি। ইমামির Kolkata Centre for Creativity. অনেক ড্যান্সার্স গেছিলেন। যারা এসেছিলেন সবাই খুব aristocrat. আমাকে যিনি বলেছিলেন, তিনি বোধহয় আর তাদেরকে জুতো খুলে বসার কথা বলার ভরসা পাননি। আমার যা চেহারা,যা দেখতে underestimate করাটা খুব স্বাভাবিক। যাই হোক, যে কথাটা বলছিলাম, প্রোগ্র্যাম শেষ, felicitation পর্ব চলছে। আমি আর সৌমিক বাড়ি ফিরবো বলে টুকটুক করে গ্যালারি থেকে নেমে জুতো পরছি, ওমা দেখি আমার নাম announce করছে । সেই সময়েই মনে হলো, বিশ্বকাপ এর খেলা চলছে, শেষ এক মিনিট বাকি, একটি দল গোল খেয়ে গেলো। মানে আমি গোল খেয়ে গেলাম। কিছুজন তো খেয়াল করছিলেন আমি চলে যাচ্ছি, কি হাসি তাদের। আমিও খুব হাসলাম।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *